আলফাজ আনাম
ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে। তিনি বেশ কিছু দিন যাবত নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এমন আভাস-ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিলো। এখন দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে বিএনপির আন্দোলন ও সেনা প্রধানের বক্তব্যর পর সরকারের ভিত্তি একেবারেই দূর্বল হয়ে পড়েছে। ড. ইউনুস জোর করে ক্ষমতায় থাকবেন এমন সম্ভবনা নেই। যদি এই সরকার পদত্যাগ করে তাহলে আরেকটি সেনা সমর্থিত সরকারের আর্বিভাব ঘটতে পারে। সেটি হবে আরেকটি ওয়ান ইলেভেনের সরকার। যেখানে সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রপতি হবে প্রবল ক্ষমতাধর।
দেশের এই পরিস্থিতির জন্য উপদেষ্টাদের রাজনীতিতে অনভিজ্ঞতা ও ছাত্রনেতাদের ভুমিকা প্রধানত দায়ী। জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্ররা যদি নূন্যতম ঐক্য বজায় রাখতে পারতো তাহলে এমন পরিস্থিতি উদ্ভব হতো না। বিএনপি এবং ডিপস্টেট বুঝে গেছে- ছাত্রদের শক্তি শেষ হয়ে গেছে। ছাত্ররা বিএনপির সমর্থন – সহানুভুতি অনেক আগেই হারিয়ে ফেলে। পরে উপদেষ্টা মাহফুজ ইসলামপন্থীদের সাথে যে আচরণ করেছেন তাতে তাদের পক্ষে ছাত্রদের সমর্থন করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।
এছাড়া এই ছাত্র উপদেষ্টারা আওয়ামী লীগের সফট পাওয়ার শিল্পপতি ও মিডিয়া হাউজের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তোলে। মজার ব্যাপার হলো, এই শিল্পপতি ও মিডিয়া হাউজগুলো আবার বিএনপির সাথে ঘনিষ্ট সর্ম্পক বজায় রেখে চলছে। দেশের সামনে যে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে তাতে এরা প্রধান ভুমিকা পালন করবে। এটা হবে ২০০৮ সালের মতো একটি সরকার। সম্ভবত আগামী দিনে পুলিশ হত্যার দায়ে এই ছাত্রনেতাদের ফাঁসিতে ঝুললেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিএনপি- জামায়াতকেও হয়তো এজন্য মুল্য দিতে হবে।
লেখক : সহযোগী সম্পাদক, দৈনিক আমার দেশ।
(লেখটি লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া)




